বাঙালির দূর্গা পূজা
বাঙালির প্রধান উৎসব বলতে সেটা সবের প্রথমে আসে তা দূর্গা পূজ। দূর্গা পূজা উপলক্ষে সারা বাংলা মেতে ওঠে।
কলকাতার দূর্গা পূজা মণ্ডপ
দূর্গা পূজা মূলত বড়ো বড়ো জমিদার ও বনেতি বাড়ি তে শুরু হলে তা পরবর্তী সময়ে সারা বাংলায় বিভিন্ন সমাজ ও শ্রেণী র মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে বারোয়ারি পূজা হিসাবে । বারোয়ারি পূজা প্রথেমে শুরু হয় বর্তমান হুগলি র গুপ্তিপাড়া তে জগদ্ধাত্রী পূজা উপলক্ষে ১৭০০ সন নাগাদ, ১২ জন বন্ধু মিলে এই পূজা করে ছিল বলে এই পূজা বারোয়ারি পূজা নাম পরিচিত হয়।

দূর্গা পূজা র সূচনা হয় বেশ কয়েক মাস আগে থেকে, মৃন্ময়ী দূর্গা প্রতিমা তৌরি করা বাংলার অন্যতম শিল্পকলা। বাংলার কুমোরেরা তাদের নিপুন হাতে মৃন্ময়ী দূর্গা প্রতিমা র রূপ দেয়।



শিল্পীর হাতে ক্রমে ক্রমে পূর্ণতা পায় দেবী দূর্গা , কলকাতা র কুমারটুলি প্রতিমা শিল্পীর খ্যাতি জগৎ জোড়া।


আর সঙ্গে সঙ্গে সেজে ওঠে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ সেখানে দেবী দূর্গা র আরাধনা আগামী কয়েক দিন। ভিন্ন থিম এর সাজে সেজে ওঠে শহরের বড়ো বড়ো পূজা মণ্ডপ গুলি ।




দূর্গা প্রতিমা এর পর মৃৎ শিল্পী দের ঘর থেকে রহনা দেয় শহরের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ এ।


পূজা উপলক্ষে সেজে উঠে বিভিন্ন বাজার, রাস্তা, বসে মেলা ।




পূজা মণ্ডপ গুলি তে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা , আনন্দে মেতে ওঠে গোটা বাংলা।




এই উৎসবের আমেজ সারা বাঙ্গালায় ছড়িয়ে পড়ে, বাংলার প্রায় সব শহর গ্রাম জুড়ে পালন করা হয় এই দূর্গা পূজা। মণ্ডপ সজ্জাই পিছিয়ে থাকে না অন্যান্য শহরের পূজা মণ্ডপ গুলি।






এ ছাড়াও বনেদি বাড়ি গুলো র দূর্গা পূজা আড়ম্বরে সঙ্গে পালিত হয় গ্রাম বাংলা জুড়ে




কলকাতাতেও বনেদি বাড়ি গুলোতেও আড়ম্বরের সাথে পালন করা হয় দূর্গা পূজা। সাবেকি দূর্গা প্রতিমা সুসজ্জিত ঠাকুর দালানে পূজিত হয়।
হিন্দু শাস্ত্রীয় বিধান মেনে পাঁচ দিন ধরে চলে মাটি আরাধনা বিভিন্ন আচার পালনের মধ্যে দিয়ে।
পূজা শেষে চলে আসে বিসর্জন এর পালা, এবার মা দূর্গা ফেরার পালা, মা কে বরন করে বিদায় জানায়, শুরু হয় পরের বছর এর জন্যে দিন গোনা।